পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে আমদানির সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে আমদানির অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বাণিজ্যসচিব ও কৃষি সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে কমিশন এমন সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে।
ট্যারিফ কমিশন বলেছে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সম্প্রতি স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে। যেখানে দেখা যায় কতিপয় মধ্যসত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ এই সময়ে ৯০ টাকার মধ্যে থাকার কথা থাকলেও বেড়ে এখন ১১৫ টাকার উপর বিক্রি হচ্ছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশে এই পেঁয়াজের দাম এখন প্রায় ৩০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তাই সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দ্রুত অনুমতি দিতে কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজের উপর মোট ১০ শতাংশ শুল্ককর প্রযোজ্য। পার্শ্ববর্তী দেশে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় শুল্ককর হ্রাসের প্রয়োজন নেই। যত দ্রুত এই আমদানি হবে তত কম সময়ে স্থানীয় বাজারে এর সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক হবে।
এ বিষয়ে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান বলেন, কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এই সময়ে পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকার মধ্যে থাকার কথা, কিন্তু তা বেড়ে ১১৫ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশে একই পেঁয়াজের দাম প্রায় ৩০ টাকার মধ্যে। এ কারণে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দ্রুত অনুমতি দিতে কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পেঁয়াজের উচ্চ দামের সুবিধা কৃষক পাচ্ছেন না। বরং মধ্যস্বত্বভোগীরা এর সুযোগ নিচ্ছেন। আমদানির সুযোগ দিলে বাজারে তাদের প্রভাব কমবে, ভোক্তারা যৌক্তিক দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস ভারত, যেখান থেকে মোট আমদানির প্রায় ৯৯ শতাংশ আসে। এছাড়া তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন ও মিশর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
গত অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন। তবে সংরক্ষণ সমস্যাসহ নানা কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হয়। তাই গত অর্থবছরে ৩৩ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ বাজারে এসেছে।
আমার বার্তা/এমই
