ই-পেপার রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২

এসডোর গবেষণা: নিম্নমানের রঙের ব্যাবহার বাড়াচ্ছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি

আমার বার্তা অনলাইন:
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৩০

দেশে ডেকোরেটিভ কাজে ব্যবহৃত রঙে ১ লাখ ৯০ পিপিএম পর্যন্ত বিপজ্জনক ভারী ধাতু সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যেখানে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী রঙে সিসা ব্যবহারের সর্বোচ্চ মাত্রা ৯০ পিপিএম। দেশে রং বাজারজাতকারী বহুজাতিক ও বড় রঙের ব্র্যান্ডগুলো সিসামুক্ত রং উৎপাদনে অনেকাংশে সফল হলেও এসব বিপজ্জনক রং উৎপাদন করছে ক্ষুদ্র, অনিবন্ধিত বা লেবেলবিহীন রঙের উৎপাদনকারীরা। যারা বাজারের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দখল করে রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন- এসডোর এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

লেড এক্সপোজার এলিমিনেশন প্রজেক্ট ও ইন্সটিগ্লিও এর সহযোগিতায় পরিচালিত ‘রঙে সিসার উপস্থিতি ও সিসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অগ্রগতি মূল্যায়ন’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রেস ব্রিফিং হয়েছে লালমাটিয়া এসডোর প্রধান কার্যালয়ে।

এসময় জানানো হয়, গবেষণায় পরীক্ষিত মোট ১৬১টি নমুনার মধ্যে ৯৩টি (৫৭.৮%) নমুনায় নিরাপদ মাত্রা (৯০ পিপিএম-এর কম) পাওয়া গেছে। নমুনাগুলো শীর্ষস্থানীয় ন্যাশনাল ও মাল্টিন্যাশনাল উভয় ব্র্যান্ডের রং।

তবে ৪২.২% (১৬১টির মধ্যে ৬৮টি) নমুনা বিএসটিআই নির্ধারিত সিসার নিরাপদ মাত্রা ৯০ পিপিএম-এর অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে ২৬.২% নমুনায় ১,০০০ পিপিএম-এর বেশি এবং ৩.১% নমুনায় ৫০,০০০ পিপিএম-এর বেশি সিসা পাওয়া গেছে। নির্ধারিত মাত্রা অতিক্রমকারী এই ব্র্যান্ডগুলো মূলত ক্ষুদ্র, স্থানীয় বা অনিবন্ধিত উৎপাদক, যাদের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা বা নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকির অভাব রয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এসডোর চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, আমরা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সব প্রকার রং থেকে সিসা নির্মূল করার জন্য কর্তৃপক্ষ ও শিল্প খাতের স্টেকহোল্ডারদের কাছে অবিলম্বে পদক্ষেপ দাবি করছি। উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহারে সম্মিলিত দায়বদ্ধতার পক্ষে আমরা কথা বলছি।

অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবির মিলন বলেন, আমদানি নীতিতে রং আমদানির ক্ষেত্রে লেড ফ্রি করতে হবে, তাহলে আমরা একটা লাগাম টানতে পারবো। যেগুলো আসবে, সেগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, যেসব ভালো ব্র‍্যান্ড লেড ফ্রি রং করছে, তাদের ধন্যবাদ। তারা ঘোষণা দিয়ে এটা করছে, সেটা প্রসংশার দাবি রাখে। তাদের আরও সুরক্ষার জন্য শিল্প ক্ষেত্রে লেড ক্রোমেড পাউডার আমদানিও নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করা দরকার। তাহলে শুধু রং নয়, খাবার থেকে শুরু করে অনেক কিছুর ক্ষেত্রে আমরা এ মারাত্মক ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত হবো।

এসডোর সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার শাহরিয়ার হোসেন বলেন, গবেষণাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কেবল আইন প্রণয়ন নয়, তার যথাযথ বাস্তবায়নও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের লক্ষ্য কাউকে দোষারোপ করা নয় বরং একটি সম্মিলিত সংকট মোকাবিলা করা, যেখানে শিল্পকলা, উৎপাদন এবং দৈনন্দিন জীবনে নিরাপত্তাকে অবশ্যই আপসহীন একটি অংশ হতে হবে।

এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা বলেন, আমরা যে রং ব্যবহার করি তা যদি নিরাপদ না হয় তবে এটি প্রতিটি পরিবার ও শিল্পীর জন্য জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং মানসিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশে সীসামুক্ত ভবিষ্যৎ অর্জনে আমরা সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গবেষণার প্রধান ফলাফল ক্যাঙ্গারু ব্র্যান্ডের একটি রঙে ১ লাখ ৯০ হাজার পিপিএম সিসার সর্বোচ্চ উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে ওই গবেষণায়। এরপরই রয়েছে ইউরো ব্র‍্যান্ডের রং, যা ১ লাখ ৭০ পিপিএম। অন্যান্য উচ্চ মাত্রার সিসাযুক্ত নমুনার মধ্যে রয়েছে নাহার (৮১,০০০ পিপিএম), নিউ টুয়া (৭৪,০০০ পিপিএম), টপ সিল (৫৪,০০০ পিপিএম), মদিনা বেটার রুবিল্যাক (১৯,০০০ পিপিএম), মেঘনা প্লাস (১৮,০০০ পিপিএম), র‍্যামি (১৮,০০০ পিপিএম) এবং তুর্কি (১৬,০০০ পিপিএম)। এসব রং ছিল হলুদ বা সোনালি-হলুদ রঙের অয়েল/সন্ডেন্ট-ভিত্তিক ডেকোরেটিভ রং।

হলুদ রঙে সর্বোচ্চ সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। লাল ও সাদা রঙেও সিসার উচ্চ মাত্রা পাওয়া গেছে। এ তিনটি রং বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।

কিছু রং শিল্পকারখানায় ব্যবহারের জন্য বাজারজাত করা হলেও সেগুলো ডেকোরেটিভ রং হিসেবে বিক্রি হয়।

গবেষণায় আরও দেখা যায়, মাত্র ২১.৬% রঙে (১৬২টির মধ্যে ৩৫টি) ‘সিসামুক্ত’ বা ‘পরিবেশ-বান্ধব’ লেবেল ছিল। আর জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেকেরও বেশি দোকানদার বিএসটিআই-এর সিসার নির্ধারিত মাত্রা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।

আমার বার্তা/এল/এমই

চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও কর্ণফুলীতে নির্মিত হচ্ছে নতুন হাসপাতাল

চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও কর্ণফুলী উপজেলায় দুটি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নগরের দুই প্রান্তের

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৪ জন

শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন

দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪ জন

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আরও ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৬৯ জন

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছেই না। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর আসছে। প্রতিদিন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের ছেলে

সাবেক এমপি কাজী নাবিলের ১০০ একর জমি ক্রোক ও ২২ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

ঢাকা-১০ আসন থেকে নির্বাচন করবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামানে ছত্রভঙ্গ নন-এমপিও শিক্ষকরা

সেনাবাহিনীকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আনাসের দেখানো পথ ধরে দেশ ও মানবজাতিকে রক্ষার আহ্বান উপদেষ্টার

আমন মৌসুমে ধান ৩৪, আতপ ৪৯ ও সেদ্ধ চাল ৫০ টাকায় কিনবে সরকার

চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও কর্ণফুলীতে নির্মিত হচ্ছে নতুন হাসপাতাল

জ্যোতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন তার ভাই

ইসলামের দৃষ্টিতে অনলাইন জুয়া হালাল নাকি হারাম, জেনে নিন

অনশন ভেঙে তারেককে আপিল করার আহ্বান ইসি সচিবের

ঢাকায় মরক্কোর ৫০তম গ্রীন মার্চ দিবস পালিত

শাবিপ্রবিতে ‘চক্ষু শিবির’ থেকে সেবা পেলেন ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী

পেয়াঁজের দাম না কমলে অনুমোদন দেওয়া হবে আমদানির

কুমিল্লা-২ : বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত না করায় হতাশ নেতাকর্মীরা

বাংলাদেশে আসছে ‘ওপেন ব্যাংকিং’ ব্যবস্থা

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চাইল দুদক

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ঋণের ৬ষ্ঠ কিস্তি ছাড় করবে আইএমএফ

গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনের আশ্বাস সিইসির

চুয়াডাঙ্গায় ৪০০ বস্তা সার জব্দ, জেল-জরিমানা