
প্রতিবেশী রাষ্ট্র বেলারুশে নিজেদের তৈরি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ওরেশনিক মোতায়েন করেছে রাশিয়া। বেলারুশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।
গতকাল এক বিবৃতিতে বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “"সেনাবাহিনীর ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র বিভাগ দেশের নির্দিষ্ট এলাকায় কমব্যাট ডিউটি পালন শুরু করেছে।”
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পর্কে একবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, “এই ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে দশগুণ বেশি গতিসম্পন্ন এবং একে আটকে দেওয়ার মতো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এখনও তৈরি হয়নি।”
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, বেলারুশে মোতায়েনের পুরো ইউরোপ এখন এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় থাকবে। কারণ মধ্যমপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
ফলে বেলারুশ থেকে ইউরোপের যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে তো বটেই, উপরন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলেও আঘাত হানতে পারবে ওরেশনিক।
রাশিয়া এবং বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে অরণ্যপথের ভেতর দিয়ে একটি ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সেটি ঢাকা আছে সবুজ রঙের নেটে। বেলারুশের ঠিক কোথায় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হয়েছে, তা জানায় রুশ এবং বেলারেুশ সেনাবাহিনী।
পশ্চিমা রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সম্প্রতি ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর কয়েক জন সদস্য এমন কিছু ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেগুলো রাশিয়ার একদম ভেতরে আঘাত হানতে সক্ষম।
এমন তথ্য পাওয়ার পরই বেলারুশে ওরেশনিক মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া।
সূত্র : এএফপি
আমার বার্তা অনলাইন

